আধুনিক রূপচর্চা ও রান্নার রেসিপি

আধুনিক রূপচর্চা ও রান্নার রেসিপি
আধুনিক রূপচর্চা ও রান্নার রেসিপি

বিউটি টিপস

 7 আধুনিক বিউটি টিপস- সৌন্দর্য্য বাড়ানোর কিছু সহজ ঘরোয়া উপায় –
সুন্দর ,উজ্বল,চকচকে ত্বক সব মানুষের অনেক স্বপ্ন । বর্তমানে আধুনিক যুগে সৌন্দর্যের প্রতি মানুষ যেমন চিরকাল আকৃষ্ট হয়, তেমনিও সুন্দর ত্বকের প্রিয় অধিকারিণীও খুবই সহজে মানুষের মনে স্থান করে নেয় । কনো কথায় বলে না, সুন্দর মুখের জয় সর্বত্র। । এবং বর্তমান দূষণ ও চাহিদাপূর্ণ আমাদের জীবনে, ত্বকের যত্ন খুবই আবশ্যক। তাছাড়াও ত্বক সুন্দর হলে কনো রকমের প্রসাধনীর ব্যবহার ছাড়াই আপনাকে অনেক আকর্ষণীয় লাগে। বাহিরে-রাস্তায়,বাসে- অফিসে বা লোকালয়ে এমন একজনকে অনেকটাই উজ্বল দেখা যায়,যাদের ত্বক অন্যদের তুলনায় খুবই উজ্বল এবং আকর্ষণীয়। তখন আপনিও মনে করেন, তেমন ত্বক আমারও হত। আপনাদের আর চিন্তা নেই। আজ এখনি আমি এই প্রতিবেদনটির মাধ্যমে আপনাদের জন্য ত্বক সম্বন্ধিত এমন অনেক জরুরি টিপস্ আপনাদের মাঝে শেয়ার করবো যা আপনাদের সঠিক ব্যবহারে আপনার ত্বকও কথা বলবে। এবং আমাদের কে বিশ্বাস করুন, এইসব করতে কোন ধরনের বিউটি পার্লার যাওয়া লাগবে না। এবং অযথা দামী রূপচর্চার সামগ্রী কিনে টাকা-পয়সা নষ্ট করার প্রয়োজন নেই ।

সৌন্দর্য্য বাড়ানোর উপায় –
আনন্দতে রঙবেরঙের বিজ্ঞাপন দেখে লোভে মুগ্ধ হয়ে কখনো আমরা নানান রকমের সৌন্দর্য সামগ্রী কিনে ফেলি । কিন্তু আমরা এটা চিন্তা করিনা, যে, সেই জিনিসটা আমাদের ত্বকের জন্য উপযুক্ত কিনা! হয়ত আমাদের ক্ষণিকের জন্য তা ত্বকে কিছুটা উপকার করলেও, এতে ব্যবহৃত ক্ষতিকারক পদার্থ বা কেমিকেল কিছুদিনে পর থেকে ত্বকের উপর প্রভাব বিস্তার করতে শুরু করে। যার ফলে আমাদের পঁচিশ পেরোনোর পরেই ত্বকের স্বাভাবিক উজ্জ্বলতা খুব সহজে নষ্ট হয়ে যায়। তাই কেননা এইসব বাজারচলতি জিনিসের কেনার বদলে ঘরোয়া মাধ্যমে ত্বকের যত্ন নেওয়া যাক, এতে আমাদের ত্বক যেমন কেমিকেলের বিষাক্ত প্রভাব থেকে রেহাই পাবে, আর অতিরিক্ত খরচ করারও প্রয়োজন হবে না। 

1. ঘি বা ঘৃত
আমরা বাঙ্গালী হয়ে গরমভাতে "ঘি" খায়নি,তা কখনো বিশ্বাস করা যায় না। আমাদের পরিবারে মা –ঠাকুমাদের জিজ্ঞাসা করলে শুনবেন যে ঘি খেলে ত্বকের উজ্বলতা বৃদ্ধি পায়। কারণ আগেকার দিনে আমাদের পরিবারে মা – ঠাকুমাদের প্রধান প্রিয় রূপচর্চার উপকরণই ছিল ঘি। আসুন আমরা আজ বৈজ্ঞানিক কিছু তথ্য নাড়াচাড়া করে জেনে নেই,আমাদের পরিবারের মা -ঠাকুমাদের বলা এই কথাগুলো কতটা সঠিক।

খুব ভালো মশ্চারাইজার হিসেবে ব্যবহার– ঘি এর মধ্যে রয়েছে ফ্যাটি অ্যাসিড ত্বকের জন্য স্বাভাবিক আর্দ্রতা বজায় রাখতে সাহায্য করে। বরং ত্বকের জন্য একটি খুব ভালো ময়েশ্চারাইজার হল ঘি । শুষ্ক ত্বক, খসখসে ত্বক ইত্যাদি এই সমস্যায় খুব ভালোভাবে ঘিয়ের মাসাজে ত্বক হয়ে ওঠে মোলায়েম ও সুন্দর উজ্জ্বল। বার্ধক্য জনিত দাগ, মেচেদার ছোপ, কালচে ভাব ইত্যাদি দূর করতেও ঘিয়ের মাসাজ আবশ্যক। 

আপনার চুলের সমস্যায় ঘি এর ব্যবহার – শুষ্ক,উস্কো-খুস্কো চুল এর ক্ষেত্রে আমাদের নারকেল তেল বা অলিভ অয়েলের সাথে সামান্য ঘি মিশিয়ে তা খুব ভালো করে চুলে লাগালে চুল সিল্কি ও মোলায়েম হয়, এবং সাদা চুলের সমস্যা থেকেও রেহাই পাওয়া যায়।
শীতে দিনে শুষ্ক ঠোঁটের সমস্যা রোধে – শীতে শুষ্ক ঠোঁট আমাদের সবারই সমস্যা। ঠোঁট ফেটে যাওয়া, ঠোঁটের চামড়া উঠে গিয়ে রক্ত বার হওয়া ইত্যাদি হালকা রোধে ঠোঁটের ওপর ঘি হালকা ভাবে ম্যাসাজ করতে হবে। ঘিয়ের তেলতেলে ভাব ঠোঁটের চামড়ার ওপর একটি স্তর তৈরি করে। এবং শীতকালের আর্দ্রতা থেকে ঠোঁটকে সুরক্ষায় রাখে। 
পা ফাটার সমস্যা রোধে – অনেকের শুধু বেশিভাগ শীতকালে পা ফাটে, কারও কারও আবার সারা বছরই অনেকের পা ফাটার সমস্যা খুবই দেখতে পাওয়া যায়। এক্ষেত্রে আমাদের রাতে শোবার সময় ঘিয়ের নিয়মিত মাসাজে মাধ্যমে পা ফাটার সমস্যা সহযেই প্রতিরোধ করা যায় ।


No comments

Powered by Blogger.