আধুনিক রূপচর্চা ও রান্নার রেসিপি

আধুনিক রূপচর্চা ও রান্নার রেসিপি
আধুনিক রূপচর্চা ও রান্নার রেসিপি

দাঁতের যত্ন নিন

দাঁতের মাড়ির রক্ত পড়া বন্ধ করার ৪ উপায় :-


দাঁতের সমস্যার মধ্যে অন্যতম সমস্যা হলো মাড়ি থেকে রক্ত পড়া। এই সমস্যা শুরু হলে অনেক চিকিৎসা করেও রেহাই পাওয়া সম্ভব হয় না যদি না আপনি নিজে থেকে সচেতন হয়ে যত্ন নেন। দাঁতের যত্নে আমরা অনেকেই বেশ অবহেলা করে থাকি। গবেষণায় দেখা যায় প্রায় ৫৫% পূর্ণবয়স্ক মানুষ আলসেমি করে এবং ঘুমের কারণে রাতের বেলা দাঁত ব্রাশ করেন না। ফলে দাঁতের এবং দাঁতের মাড়ির নানা সমস্যা দেখা দেয়। দাঁতের মাড়ি থেকে রক্ত পড়া রোধে আপনি করতে পারেন নানা কাজ। এই কাজগুলো তাৎক্ষণিক ভাবে উপশমে কাজে দেবে, এবং মাড়ির সুরক্ষাতেও কাজ করবে।

১) লবঙ্গ :-

ঘরে থাকা সবচাইতে সহজলভ্য এবং মাড়ির রক্ত পরার উপশমে কার্যকরী উপাদানটি হচ্ছে লবঙ্গ। লবঙ্গের অ্যান্টি ইনফ্লেমেটরি উপাদান মাড়ির রক্ত পড়া দ্রুত বন্ধ করে এবং দাঁতের জন্য ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া দূর করে। মাড়ির রক্ত পড়া রোধে দুটো লবঙ্গ মুখে ভালো ভাবে চিবিয়ে এবং চুষতে থাকুন। দেখবেন খুব তাড়াতাড়ি মাড়ির রক্ত পড়ার সমস্যা দূর হবে।

২) অ্যালোভেরা :-

অ্যালোভেরার নানা ঔষধি গুণাগুণ রয়েছে তা আমরা অনেকেই জানি। এরই মধ্যে মাড়ির সুরক্ষার গুনটিও পড়ে। অ্যালোভেরা পাতা নিয়ে এর ভেতরকার অ্যালোভেরা জেল বের করে মাড়িতে ঘষে নিন। এরপর অ্যালোভেরার জেলটি কিছুক্ষন মুখে রেখে দিন। তারপর ভালো করে মুখ কুলি করে ধুয়ে ফেলুন। দেখবেন মাড়ি থেকে রক্ত রক্ত পড়া খুব তাড়াতাড়ি বন্ধ হয়ে যাবে। এই প্ৰদতিতে আমাদের এই বিষয় গুলো ব্যবহার করুন এবং কাজে লাগিয়ে ভালো থাকুন। 

৩) ফল এবং কাঁচা সবজি খাওয়া :-

আপেল, পেয়ারা, গাজর, পেঁপে ইত্যাদি ধরণের ফল দারে মাড়ির জন্য অত্যন্ত স্বাস্থ্যকর। এই ধরনের ফলমূল এবং কাঁচা সবজি খাওয়ার সময় দাঁতের মাড়ির ভেতর রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি পায় এতে মাড়ি থেকে রক্ত পড়ার মতো সমস্যা থেকে রেহাই পাওয়া যায়।
লবণ পানির কুলকুচা
মাড়ি থেকে রক্ত পড়া বন্ধ করতে এবং মাড়ির সুরক্ষায় সব চাইতে সহজ একটি ঘরোয়া কাজ হচ্ছে লবণ ও কুসুম গরম পানির কুলকুচা করা। ১ মগ কুসুম গরম পানিতে সামান্য লবণ দিয়ে মিশিয়ে নিয়ে দিনে ৩ বার কুলকুচা করুন। মাড়ির রক্ত পড়া সমস্যা থেকে রেহাই।

৪) নিয়মিত ব্রাশ এবং ফ্লস করা :-

অনিয়মিত ব্রাশ করার কারণে অনেক সময় দাঁতের মাড়ি থেকে রক্ত পড়া শুরু হয়। তাই নিয়মিত ব্রাশ করার অভ্যাস করা উচিৎ। ব্রাশের পাশাপাশি ফ্লস করা অত্যন্ত জরুরী। কারণ ফ্লসের মাধ্যমে মাড়িতে লেগে থাকা খাদ্যকনা দূর হয় যা ব্রাশ করার পরও রয়ে যায়। তাই মাড়ি থেকে রক্ত পরার হাত থেকে বাঁচতে চাইলে ব্রাশের পাশাপাশি ফ্লস করুন।


No comments

Powered by Blogger.